February 3, 2020

প্রস্তাবনা ও গঠনতন্ত্র

দীর্ঘ শোষণ ও বঞ্চনার ইতিহাস বুকে নিয়ে বারংবার বিদ্রোহ, বিপ্লব ও আন্দোলনের পরও এই ভূখণ্ডের মানুষ আজও মুক্তির জন্যে সংগ্রাম করে চলেছে। পরপর একটি ঔপনিবেশিক ও একটি নব্য ঔপনিবেশিক শক্তিকে পরাজিত করে ভৌগলিক স্বাধীনতার লড়াইয়ে বিজয়ী হয়ে এদেশের মানুষ প্রকৃত মুক্তির স্বাদ পায়নি। ঔপনিবেশিক কায়দায় আজও তাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করে রেখেছে শাসক গোষ্ঠী। এই কাঠামোগত শোষণের পেছনে যেমনটি রয়েছে গণতন্ত্রকে পরিবারতান্ত্রিকতায় পর্যবসিত করার কৌশল, তেমনি রয়েছে আইনগত ও সংস্কৃতিগতভাবে স্বাধীন চিন্তার টুঁটি চেপে ধরার ফাঁদ। এমন একটি সময়ে দাঁড়িয়ে, আমরা, এদেশের জনগণ অনুভব করছি যে আমাদের সামগ্রিক মুক্তির জন্য একটি সংগঠিত গণমঞ্চ তৈরি করতে হবে, যেটি কিনা ক্ষমতার দম্ভ ছিন্ন করে একটি গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র স্থাপনের মাধ্যমে মানুষের কাছে তার আকাঙ্ক্ষিত মুক্তিটিকে পৌঁছে দেবে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা মুক্তিফোরাম নামের একটি পরিবর্তনকামী সংগঠন গড়ে তুলছি।
February 3, 2020

আমরা কি? আমরা কেন?

মুক্তিফোরাম একটি মুক্তিবাদী, বহুত্ববাদী এবং জনপন্থী সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে গড়ে ওঠা সংগঠিত গণমঞ্চ। এর লক্ষ্য হলো নতুন ধরণের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক চর্চা নির্মাণ। নোংরা হিসেবে রাজনীতির যে রূপকল্প এদেশের মানুষের কাছে নির্মাণ করা হয়েছে, সেটিকে চ্যালেঞ্জ করতে চায় মুক্তিফোরাম। আবার যেসব একক আদর্শ (যেমন বামপন্থা-ডানপন্থা) বা পরিচয়ের রাজনীতি (সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, জাতিবাদ) দিয়ে জনগণের সংহতি ও বৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে তার একটি এন্টিডোট হয়ে ওঠাও মুক্তিফোরামের প্রকল্প।

February 1, 2020

আমাদের সম্পর্কে

মুক্তিফোরামের অবস্থান হবে সাংস্কৃতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক বলয় এবং রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের চর্চার মাঝে এক ধরণের সংযোগ স্থাপনার উপায় হিসেবে। মুক্তিফোরামের কাঠামো হবে একটি সংগঠনের সংগঠনের মতন–অর্থাৎ গ্রুপ অব অর্গানাইজেশন্সের মতন। এর মাঝে ভোটের রাজনীতিতে অংশ নেবার মতন নেতৃত্ব যেমন তৈরি করা হবে, তেমনি সমগ্র ভোটের রাজনীতি থেকে আলাদা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, রাষ্ট্রচিন্তা, গান, কবিতা, নাটক, ছবির চর্চাও চলবে। নবীনদের মাঝে নেতৃত্ব ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা গড়ে তোলাও মুক্তিফোরামের কর্মকান্ডের মাঝে থাকবে। সমাজের নানান অন্যায় অবিচার নিয়ে মুক্তিফোরাম থাকবে সোচ্চার এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান প্রস্তাব করবে।